শুধু দর্শন নয় দর্শনকে অন্তর দিয়ে অনুভব করার নাম অনুভব দর্শন
ভারতের জাতীয় গ্রন্থগার , বেলভেডিয়ার রোড, আলিপুর, কলকাতা
কলকাতার আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারে গত ১৪ ও ১৫ ই মে, ২০২৫ অনুষ্ঠিত হল অখিল ভারতীয় প্রবুদ্ধ মঞ্চ প্রজ্ঞাপ্রবাহের পশ্চিমবঙ্গ শাখা লোকপ্রজ্ঞার সাংগঠনিক কর্মশালা ও একবিংশতম অনুভব দর্শন। বৈঠক ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি। অনুভব দর্শনে এঁরা ছাড়াও নির্বাচিত কিছু প্রবুদ্ধ ব্যক্তি অংশ নেন। ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় সূচিত প্রান্তবৈঠকত্রয়ের মধ্যে মধ্যবঙ্গের বৈঠক জাতীয় গ্রন্থাগারে এবং অপর দুই প্রান্তের বৈঠক কলকাতার ২৬ বিধান সরণীস্হ প্রজ্ঞামন্দিরে, সংশ্লিষ্ট প্রান্ত সংযোজক ও সহ সংযোজকের তত্ত্বাবধানে সংঘটিত হয়। ১৫ তারিখ সকাল ৮.০০ থেকে জাতীয় গ্রন্থাগারে শুরু হয় তিন প্রান্ত সংযোজক ও সহ সংযোজকদের মিলিত সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞাপ্রবাহের অখিল ভারতীয় সংযোজক ডঃ জগন্নাথ নন্দকুমার, প্রজ্ঞাপ্রবাহের পূর্বক্ষেত্রের সংযোজক অরবিন্দ দাশ এবং লোকপ্রজ্ঞার রাজ্য সংযোজক ডঃ সোমশুভ্র গুপ্ত।
চা-পান পরবর্তী কালাংশের বৈঠকে উক্ত তিন মুখ্য কার্যকর্তাসহ তিন প্রান্তের সংযোজক সহ-সংযোজক, মাতৃশক্তি ও বিভিন্ন শৈক্ষণিক বিভাগের প্রমুখ অংশ নেন। ডঃ নন্দকুমারজি ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরার ক্ষেত্রে উন্নতমানের গবেষণা ও প্রসারের জন্য দেশের শ্রেষ্ঠ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নির্মিত সংস্থা ‘ইকশা’ (IKSHA) এবং উক্ত ক্ষেত্রে পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণাপত্র প্রস্তুতের উদ্দ্যেশ্যে নির্মিত দিকশা (DIIKSHA) প্রকল্পের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
[...]
দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির প্রাঙ্গণ, কলকাতা
প্রজ্ঞা প্রবাহের পশ্চিমবঙ্গ শাখা লোকপ্রজ্ঞার ২০ তম অনুভব দর্শন হয়ে গেল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির প্রাঙ্গণে। দিনটি ছিল বর্ষ প্রতিপদার পরের দিন- ১৭ই চৈত্র ১৪৩১ইং ৩১শে মার্চ ২০২৫; সময় সকাল ৯টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত। শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস ও শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লোকপ্রজ্ঞা মাতৃশক্তি এবং লোকপ্রজ্ঞা সঙ্গীত যৌথভাবে।দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবোত্তর এস্টেটের অছি পরিষদের সম্পাদক মাননীয় শ্রী কুশল চৌধুরী মহাশয়ের একান্ত অনুগ্রহে এবং তুহিনা প্রকাশনীর কর্ণধার হিমাংশু মাইতি, মন্দিরের শ্রী দেবব্রত রায়, অছি পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং নিরাপত্তা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সুসম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের সংকল্প সুত্রটি ছিল স্বামীজীর ধ্যানদৃষ্ট পরম বৈভবশালী ভারতবর্ষ সাকার করার জন্য মাতৃশক্তির চেতনা কি রূপ জাগ্রত হলে তাদের লালিত পালিত সন্তানগণ রাষ্ট্রকেন্দ্রিক ও ঈশ্বর কেন্দ্রিক জীবন যাপন করে ওই শুভ লক্ষ্যে পৌঁছানোর সামর্থ্য অর্জন করতে পারবে। এই সংকল্প সূত্রটি রচনা করেন প্রজ্ঞাপ্রবাহের পূর্বক্ষেত্র সংযোজক মাননীয় শ্রী অরবিন্দ দাস মহাশয়। পরম লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সমাজের সমষ্টি চেতনার পরিবর্তনের প্রয়োজন। সেটি সম্ভব কেবলমাত্র ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামীজি ও চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন দর্শন একান্তভাবে পাথেয় করে আগাতে পারলে। [...]
ভারতের জাতীয় গ্রন্থগার , বেলভেডিয়ার রোড, আলিপুর, কলকাতা
বিগত ১৯শে জানুয়ারি ২০২৫, বেলভেডিয়ার রোড, আলিপুর, কলকাতা ৭০০০২৭ এ অবস্থিত ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষাভবনে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পেক্ষাগৃহে লোকপ্রজ্ঞা ও জাতীয় গ্রন্থাগার, কলকাতা কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ১৯ তম অনুভব দর্শন ও যুব সম্মেলন। বিষয়ভাবনা ছিল "স্বামীজি-নেতাজি এবং আজকের যুবসমাজের জন্য তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা"। দুটি কালাংশে বিভক্ত অনুষ্ঠানের সময়কাল ছিল সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.০০ টা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোসকে মহোদয়। সম্মানীয় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর নিবন্ধক পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী কালেশানন্দজী মহারাজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বলবিদ্যা প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সোমনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় প্রমুখ। এছাড়াও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ও দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোকপ্রজ্ঞা পরিবারের ছাত্রশক্তির বিভাগের ঊষা, উদয়, উন্মেষ ও উত্তরণ, মাতৃশক্তি, যুবশক্তি ও বিভিন্ন শৈক্ষণিক বিভাগের সদস্যগণ, তাঁদের পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষাব্রতী ব্যক্তিত্ব প্রমুখ, যার সম্মিলিত সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। [...]
বিজ্ঞানের সাধন ক্ষেত্র, পুণ্যক্ষেত্র, NIT দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান
লোকপ্রজ্ঞার ১৭তম্ অনুভব দর্শন ১৭ই মার্চ, ২০২৪ তারিখে পশ্চিম বর্ধমানের NIT দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রফেসর প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. ইন্দ্রজিৎ সরকার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও পুস্তক উন্মোচন এবং বিভিন্ন প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমৃদ্ধ হয়। দেবাশীষ ঘোষের কণ্ঠে বন্দেমাতরম ও শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। [...]
নৈহাটির কাঁটালপাড়ায় বঙ্কিমের বাড়িতেই রচিত হয়েছিল বন্দেমাতরম
গত ১লা অক্টোবর, রবিবার; সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত নৈহাটির কাঁটালপাড়ায় বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো ১৬ তম অনুভব দর্শন কার্যক্রম । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকপ্রজ্ঞার প্রায় ১৫০ জন সদস্য এদিন সামিল হয়েছিলেন স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বন্দেমাতরম্ এর রচয়িতা ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের পুণ্য জন্মস্থানে আয়োজিত এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য।
ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের জন্ম বেদীর পবিত্র মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে এবং সমবেত কন্ঠে পূর্ণ বন্দেমাতরম সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই অনুভব দর্শন অনুষ্ঠান। শুভ সূচনার পর ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মভিটা , শিব মন্দির, রাধা মাধবের ঠাকুরবাড়ি পরিভ্রমণ এবং বঙ্কিম ভবনের সংরক্ষণাগারের সংরক্ষিত বস্তু সামগ্রী দর্শন করা হয়। দুপুরের ভোজনের ব্যবস্থাও ছিল বঙ্কিমের পুণ্য জন্মস্থানেই। [...]
কামারপুকুর জয়রামবাটিতে লোকপ্রজ্ঞার পঞ্চদশ অনুভব দর্শন অনুষ্ঠান - 2 য় পর্ব
অখিল ভারতীয় প্রবুদ্ধ মঞ্চ প্রজ্ঞাপ্রবাহের পশ্চিমবঙ্গ শাখা লোকপ্রজ্ঞার উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় পুণ্যভূমি কামারপুকুর-জয়রামবাটীতে গত ২৬ ও ২৭ আগস্ট দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো অনুভব দর্শন কার্যক্রম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকপ্রজ্ঞার প্রায় দেড়শো জন সদস্য সামিল হয়েছিলেন ঠাকুর-মার পূণ্য জন্মস্থানে আয়োজিত এই কার্যক্রমে। সকলের থাকা ও প্রসাদের ব্যবস্থা কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের ভক্ত নিবাসেই ছিল।প্রথম দিন পায়ে হেঁটে ঠাকুরের জন্মস্থান, পাঠশালা ও ঠাকুর মা, স্বামীজীর পদধূলি মিশ্রিত, তাদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলি পরিভ্রমণ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ২৫ টি গাড়িতে শ্রীমা সারদা দেবীর পুণ্য জন্মস্থান জয়রামবাটি ও পাশাপাশি কুড়িটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিভ্রমণের পর ঐতিহাসিক লীলাক্ষেত্র ঠাকুরের পাঠশালায় শুরু হয় সমবেত অনুষ্ঠান। [...]
কামারপুকুর জয়রামবাটিতে লোকপ্রজ্ঞার পঞ্চদশ অনুভব দর্শন অনুষ্ঠান - ১ম পর্ব
অখিল ভারতীয় প্রবুদ্ধ মঞ্চ প্রজ্ঞাপ্রবাহের পশ্চিমবঙ্গ শাখা লোকপ্রজ্ঞার উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় পুণ্যভূমি কামারপুকুর-জয়রামবাটীতে গত ২৯ ও ৩০ শে জুলাই দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো অনুভব দর্শন কার্যক্রম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকপ্রজ্ঞার প্রায় দেড়শো জন সদস্য সামিল হয়েছিলেন ঠাকুর-মার পূণ্য জন্মস্থানে আয়োজিত এই কার্যক্রমে। সকলের থাকা ও প্রসাদের ব্যবস্থা কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের ভক্ত নিবাসেই ছিল। অনুভব দর্শন কার্যক্রমে দুদিন উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞাপ্রবাহের অখিল ভারতীয় সহ সংযোজক মাননীয় রঘুনন্দনজী ও পূর্ব ক্ষেত্র সংযোজক শ্রী অরবিন্দ দাস মহাশয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়রামবাটী মঠের পূজ্যপাদ মোহন মহারাজ, বিশিষ্ট স্বামীজি গবেষক সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ; অধ্যাপক, সুবক্তা ও বিশিষ্ট লেখক ডঃ অরিজিৎ সরকার ও আরও অনেক গুণীজনেরা। [...]
'জ্ঞানং বিজ্ঞান সহিতম্'
'জ্ঞানং বিজ্ঞান সহিতম্'। এই লোগো নিয়ে সর্বভারতীয় প্রবুদ্ধ মঞ্চ প্রজ্ঞাপ্রবাহের পশ্চিমবঙ্গ শাখা লোকপ্রজ্ঞার ব্যবস্থাপনায় ৩০ এপ্রিল বসু বিজ্ঞান মন্দির সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অনুষ্ঠিত হলো একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান । যেন চাঁদের হাট । নাম ছিল বিজ্ঞানসভা অনুভব দর্শন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ডিরেক্টর প্রফেসর উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফেসর গৌরব গঙ্গোপাধ্যায়, ভাবা পরমানু কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডঃ দেবব্রত দত্ত, ভোপাল এনআইটির প্রাক্তন প্রফেসর ডঃ সদানন্দ সাপরে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায় এছাড়া আরো অনেক গুণীজনেরা। স্বাগত ভাষণ এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন বাঁকুড়ার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আশীষ কুমার মন্ডল মহাশয়। [...]
লোকপ্রজ্ঞার ১৩তম অনুভব দর্শন, নরেন্দ্রপুর
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে লোকপ্রজ্ঞার অনুভব দর্শন অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত গৌরবজনকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার। তার জ্ঞানগর্ভ ভাষণ উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। এছাড়া প্রজ্ঞা প্রবাহের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. সদানন্দ সপ্রে এবং সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডা. জিষ্ণু বসুও এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেন। দুই দিনের প্রবাস অনুষ্ঠানটি প্রায় ৩০০ জন বুদ্ধিজীবীর অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হয়। তারা উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ সহ সমগ্র রাজ্য থেকে এসেছিলেন। ছাত্র এবং মায়েদের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান পুজ্য স্বামী বসবানন্দজী মহারাজ পুরো অনুষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করেন এবং তার নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়। [...]
রামকৃষ্ণ মিশন ও মোট প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর পূর্তি স্মরণে
এই ইভেন্টটি রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বেলুর মঠে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ এই তিনটি প্রান্তের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর আগে ৩০শে জুলাই, ২০২২ রাতে, বেলুর মঠের কর্তৃপক্ষ এবং লোকপ্রজ্ঞা প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা পুজ্য স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ, সভাপতি এবং পুজ্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দজী মহারাজ, সম্পাদক দ্বারা পরিচালিত হয়। এতে আখিল ভারতীয় সংযোজক শ্রী জে. নন্দকুমারকে মিশন কর্তৃপক্ষ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ইভেন্টে ৪০০ জন বুদ্ধিজীবীর একটি বিশাল সমাগম উপস্থিত ছিল। [...]
লোকপ্রজ্ঞা মধ্যবঙ্গ অনুভব দর্শন ২০২২
বিকেন্দ্রীকরণের পর লোকপ্রজ্ঞা মধ্যবঙ্গের এটি প্রথম প্রান্ত অনুভব দর্শন। এটি চুঁচুড়া জোড়াঘাটে গঙ্গা নদীতে প্রাতঃকালের স্নান এবং বঙ্কিম ভবনে প্রার্থনার পর প্রণব কন্যা আশ্রমে আয়োজিত হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদানও করা হয়। আইআইটি খড়গপুরের প্রফেসর পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন। ইভেন্টে ২৩০ জন বুদ্ধিজীবী উপস্থিত ছিলেন। মধ্যবঙ্গের প্রথম অনুভব দর্শনে ২২৫ জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন। [...]
লোকপ্রজ্ঞা দক্ষিণবঙ্গ অনুভব দর্শন ২০২২
এই অনুভব দর্শনটি তমলুকের প্রাচীন তাম্রলিপ্ত ঋষিধামে আয়োজিত হয়। প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহাসিক বরগাভীমা মন্দির পরিদর্শন এবং দেশপ্রেমিক মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান। অনুষ্ঠানে আইআইটি খড়গপুরের পরিচালক প্রফেসর ভি.কে. তিওয়ারি উপস্থিত ছিলেন, যিনি তার চমৎকার বক্তৃতার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাবিদ ও লোকপ্রজ্ঞা সমন্বয়কারীরা, বিশেষত মাতৃশক্তির উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ছিল। প্রায় ৩০০ জন অংশগ্রহণকারী এইঅনুভব দর্শনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। [...]
লোকপ্রজ্ঞা পশ্চিমবঙ্গ অনুভব দর্শন ২০২২
লোকপ্রজ্ঞা অনুভব দর্শন, যা মধ্যবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের সমস্ত প্রান্তকে অন্তর্ভুক্ত করে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন জোড়াসাঁকোর রথীন্দ্রমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে স্মরণ করে। এই ইভেন্টের থিম ছিল “স্বাধীনতা থেকে স্বাতন্ত্র্য”। ছাত্রদের সংবর্ধনা এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সৌজন্যমূলক উপস্থিতি, পাশাপাশি প্রজ্ঞা প্রবাহ, বুদ্ধিজীবী ফোরামের জাতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ছিল প্রধান আকর্ষণ। অনুষ্ঠানটি পুজ্য স্বামী জ্ঞানলোকানন্দজী মহারাজ, রামকৃষ্ণ মিশন এবং প্রজ্ঞা প্রবাহের জাতীয় সমন্বয়ক শ্রী জে. নন্দকুমারজী এবং গৌড়ীয় মঠের আচার্য শ্রী বন্ধু গৌরব ব্রহ্মচারীর সৌজন্যমূলক উপস্থিতিতে পরিচালিত হয়। ইভেন্টে ৪০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। [...]
>ত্রিপাক্ষিক কালীঘাট, নেতাজি এবং ভারতকেশরীর পূর্বপুরুষের বাড়ি
লোকপ্রজ্ঞা অনুভব দর্শন, যা উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে, দুই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২রা ফেব্রুয়ারি এবং ২১ শে মার্চ ২০২১। তিনটি স্থান বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল: কালীঘাট মাতৃ দর্শন যা দেশের ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে একটি, এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের পূর্বপুরুষের বাড়ি এবং শেষমেশ বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যেখানে তাঁর পুত্র শহীদ ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। লোকপ্রজ্ঞার রাজ্য স্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা শিক্ষক/প্রফেসরদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন। মি. সন্দীপ সিনহা এবং অন্যদের বই উন্মোচিত হয়েছিল। ছাত্ররা বিখ্যাত দেশপ্রেমিক/জাতীয়তাবাদী/শহীদ শ্যামাপ্রসাদ এবং বিশেষ করে নেতাজির ৫ এলগিন রোডে থাকা বাড়ি পরিদর্শন করে উত্তেজিত হয়েছিল। বোস পরিবারের এক উত্তরাধিকারীর বক্তব্য প্রধান আকর্ষণ ছিল। [...]